ঢাকা সদরঘাট থেকে
মোঃ জহিরুল ইসলাম লিটন//
কারও হাতে বড় বড় ব্যাগ। আবার কোরও কোলে শিশু সন্তান। গরমে ঘামে ভিজে সব একাকার। ছুটছেন লঞ্চঘাটের দিকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) দুপুরের পর রাজধানীর সদরঘাটে গিয়ে দেখা গেছে হাজারও মানুষের এমন বাড়ি ফেরার দৃশ্য।
ঢাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন,’এবার ঈদে ছুটি কম। রোজা ৩০টি হলে ছুটি একদিন বাড়বে। না হলে ছুটি মাত্র তিনদিন। তাই পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে আজই বাড়ি ফিরছি।’
ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে ভিড়ে থাকা লঞ্চগুলোতে যাত্রীরা উঠছে প্রতিযোগিতা করে। আবার কোনটিতে যাত্রী উঠানোর জায়গা নেই। যাত্রী বোঝাই করা হয়েছে লঞ্চের ছাদেও। গন্তব্যের উদ্দেশে ছাড়ার অপেক্ষায় থাকা প্রতিটি লঞ্চের সামনে গিয়ে যাত্রীদের উদ্দেশে হাত মাইক দিয়ে নানা ধরনের সতর্কবাণী শোনাতে দেখা গেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ্কর্তৃপক্ষের(বিআইডব্লিউটিএ) স্বেচ্ছাসেবকদের।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক বলেন, ঈদে ছুটি কম হওয়ায় যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। আমরা প্রতিটি লঞ্চে নির্ধারিত আসনের বাইরে যাত্রী তুলতে দিচ্ছি না। লঞ্চে যাত্রী তোলার পর টার্মিনালের গেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চ চেক করে ছাড়া হচ্ছে। ঘাটে দেখা গেছে, অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামের একটি লঞ্চ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। ত্রুটির বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানার পর আবার পন্টুনে নোঙর করতে নির্দেশ দেয়। লঞ্চটির মেরামত হলে রাতে ছেড়ে যাবে বলেও জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে সদরঘাট নৌ থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন,’শুক্রবার (১৫ জুন) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে। অনেকেই বৃহস্পতিবার অফিস শেষের আগেই বের হয়েছেন। যে কারণে দুপুরের পর থেকে ভিড়ও গত কয়েক দিনের তুলনায় বেশি হয়েছে।’ ঈদের ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করার পাশাপাশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশের পোশাক ছাড়াও সাদা পোশাকের একটি দল দায়িত্ব পালন করছে। সদরঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান,’ এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি,তবে আমরা সঠিকভাবে মনিটরিং করছি।’