লিপিকা মন্ডল অর্পিতাঃ
বরগুনার বেতাগী উপজেলার ভোলানাথপুর গ্রামে তিনমাসের শিশু পুত্র মাইন কে পাষান্ড পিতা মোঃ সুমন মোল্লা রবিবার দুপুরে অপহরনে ব্যর্থ হয়ে পুকুরে নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।
জানাগেছে, পাশ্ববর্তী মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ গ্রামের মোঃ সুমন মোল্লার সাথে বেতাগী উপজেলার ভোলানাথপুর গ্রামের মোঃ মোসলেম সিকদারের মেয়ে সুমাইয়া বেগম (২৫) এর সাথে দুইবছর পূবে বিয়ে হয়।
সুমন মোল্লা নলকূপ স্থাপন মিস্ত্রি।
বিয়ের পর নলকূপ বসানোর সেটকেনার জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে ধার বাবদ ২ লক্ষ টাকা নেয়। পরবর্তীতে সে টাকা ফেরত দেয়নি। সুমাইয়ার শ্বশুরের নির্যাতনেরর কারনে বাবার বাড়ীতে থাকত। ছেলে মাইন জম্মের পর ২০ দিন পূর্বে সুমাইয়াকে চিকিৎসা করার কথা বলে নিয়ে যায় এবং ছেলের জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে একটি গরু উপহার, ছেলের খালার কাছ থেকে স্বর্ণের চেইন অানার জন্য সুমাইয়াকে চাপ দেয় সুমন।
বর্তমানে অার একটি নলকূপ সেট কেনার জন্য দের লক্ষ টাকার যৌতুক দাবী করে। সুমাইয়া যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে।
সুমাইয়া গত শুক্রবার শিশু পুত্র মাইনকে নিয়ে বাবার বাড়ীতে অাসে। রবিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে বোরকা পরে ছদ্দবেশে সুমাইয়ার বাবার ঘরে প্রবেশ করে তিনমাসের শিশু পুত্র কে জিম্মি করে যৌতুক অাদায়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় সুমাইয়ার মা মোসাঃ পিয়ারা বেগম দেখলে চিৎকার করে বাড়ীর লোকজন দাওয়া করলে সুমন ছেলে কে পুকুরে নিক্ষেপ করে সামনে রাখা মোটরসাইকেলে দ্রুত পালিয়ে যায়।
শিশু মাইন কে গতকাল রবিবার বেতাগী হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান অাজ রাতে অাশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থান্তর করেন।
এ ঘটনায় বেতাগি থানায় শিশু মাইনের খালা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মামনুনার রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ শিশু মাইনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তাকে গত সোমবার বিকালে বরিশালে শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।