বেতাগী নিউজ ডেস্ক♦
বেতাগী উপজেলার পৌরসভার বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন তৈলের দোকানে আগুন লেগে ৭টি দোকানের তৈলের ড্রাম, দোকান ঘর ও অন্যান্য আসবাবপত্র সহ সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে রুবেলের তৈলের দোকান ঘরে থাকা ১৪ জের পবিত্র কোরআন শরীফ অক্ষত রয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন গ্যাস ও প্রেট্রোল ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পয়ত্রিশ লাখ টাকা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা দাবি করেন।
স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন গ্যাস ও প্রেট্রোল ব্যবসায়ী মো.লিটন বিশ্বাস নামের এক ব্যাক্তির দোকান থেকে আকস্মিকভাবে আগুনের স‚ত্রপাত হয়। পরে কিছুক্ষনের মধ্যেই ঐ দোকান সহ পাশের তৈলের দোকানে আগুন ছড়িয়ে পরে, এরপর সেখান থেকে পার্শবর্তী পার্সের দোকান গুলোতে । আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে লিটন বিশ্বাসের দোকানঘর সহ পাশের মো.রুবেলের পেট্রোলের দোকান ১জন পার্স ও গ্যারেজ ব্যবসায়ী মো. হারুণ, সেলুন ব্যবসায়ী উত্তম শীল,খোকনের চায়ের দোকান, অনিলের মুচির দোকান ও গাড়ি যন্ত্রাংশ বিক্রেতা সবুরের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান মিয়া ও বেতগী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন অফিসার মো. সালাউদ্দিন বলেন, আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিটের এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা হয়। তবে বেশ কিছু সময় নিয়ে ডাম্পিংয়ের কাজ চলছিল । ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকরা তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল খুঁজতে গিয়ে কোন ধরনের মালামাল অক্ষত অবস্থায় পাননি তবে ক্ষতিগ্রস্থ তৈল ব্যবসায়ী মো. রুবেল মিয়ার দোকানে থাকা ১৪ জের কোরআন শরিফ অক্ষত পাওয়া গেছে।
বেতাগী থানার ওসি আরো বলেন, আমি হতবাক মহান আল্লাহর রহমত এমনই হয়। আল্লাহর কালাম পৃথিবীর কোন শক্তি বিনষ্ট করতে পারে না এটি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, তিনি আরো বলেন, ‘এই কোরআন শরিফ গুলো একটি তৈলভর্তি ড্রামের উপর রাখা ছিল মহান আল্লাহর কুদরতে দোকানের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও সেই ড্রামের তৈলেও একটু আগুন ধরেনি। আর কোরআন শরীফের কোন অক্ষরও পুড়েনি।’
বেতাগী উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. আবদুল হাই নেছারী বলেন, ‘আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন শরীফ নাজিল করেছেন। তিনিই তার রক্ষাকারী। মানুষের ঈমান আমল নষ্ট হতে চলেছে। এখনই আল্লাহর দেয়া বিধান মেনে চলে ঈমান আমলকে মজবুত করা প্রয়োজন।’