লিপিকা মন্ডল অর্পিতা♦
বরগুনার বেতাগী উপজেলার জনসাধারণের মাঝে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র আতংক বিরাজ করছে। বেতাগী উপজেলার পূর্বপাশ থেকে বয়ে গেছে পটুয়াখালী’র পায়রা সমুদ্র বন্দর। আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও এর সংলগ্ন পাশ্ববর্তী এলাকাসমূহকে ৭ নম্বর সর্তক সংকেত রয়েছে । দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল সাড়ে ৩টায় নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে জরুরী প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান কবির, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান মিঞা, কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন, মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল-রাজীব, বিবিচিনি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নওয়াব হোসেন নয়ন, বুড়ামজুমদার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রক শুক্কুর মীর ও প্রেসক্লাব সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মজনু। সভা শেষে এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজীব আহসান বলেন,‘ এ উপজেলার ১০২ টি সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেওয়া এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার পৌছে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্টেশন ত্যাগ না করার জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়েছে এবং জনসাধারণকে সতর্ক করার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।’ বেতাগী ফায়ার সাভির্সের সাব স্টেশন অফিসার মো. সালাহ উদ্দিন বলেন,‘ এ স্টেশনে ১৪ সদস্য রয়েছে আমরা সকলে প্রস্তুত রয়েছি।’ ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ‘আইলায় এ উপকূলীয় জনপদের মানুষের প্রাণহাণিসহ গবাধিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড় ফনী’র সরকারিভাবে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্কীকরণ এবং বিভিন্ন ইলেক্েট্রানিক্স মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে চরম উৎকন্ঠা ও আতংক বিরাজ করছে।