মো. কামাল হোসেন খান♥
বরগুনার বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জের সুর্নিপুন নেতৃত্বে পালিয়ে যাওয়া শিক্ষক ও দুই সন্তানের জননীকে উদ্ধার করে স্ব স্ব পরিবারের পাঠানো হয়েছে।
বেতাগীতে চাঞ্চল্যেকর ঘটনা ছেলের টিউশন শিক্ষকের হাত ধরে দুই সন্তানের জনণী’র ভারতে পালনোর পদক্ষেপকে পন্ড করে গতকাল ১৮ মে (শনিবার) বেলা ১১টায় স্থানীয়দের উপস্থিতিতে স্ব স্ব পরিবারে পাঠানো হয়। পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য যা হয়েছে ভূলবশতঃ হয়েছে। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন , মো.নান্টু আহম্মেদ,মনির,পল্টু,বরুন,প্রভাতী রানী,স্বদেশ নামক স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি। একই সাথে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক -প্রেমিকা উভয় জানান,’ আমাদের এই ঘটনার জন্য আমরা লজ্জ্বিত। আরো বলেন,ভূল বুঝতে পেরে তারা স্ব স্ব পরিবারে গমন করেছেন।’
উল্লেখ্য যে, পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক শিপন হাওলাদার এর সাথে একই এলাকার গৃহবধু‚ মালা রানীর সাথে বহুদি যাবৎ পরকীয়া চলে আসছিল। আরো জানা যায়, গৃহবধু‚র ছেলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী অমিত কে ওই শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতো। সেই সুবাধে গত একমাস যাবৎ বাড়িতে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক শিপন হাওলাদার সাথে এক এলাকার গৃহবধু‚ মালা রানীর পরকীয়া চলে আসছিল।
সেই সুবাধে গত একমাস যাবত বাড়িতে ঘন ঘন আসা যাওয়া করায় সম্পর্ক আরো ঘনীভূত হয়। অবশেষে ধর্মীয় রীতিনীতি উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেল সাড়ে পাঁচঁটায় শিক্ষক শিপন হাওলাদারের সাথে গৃহবধুর এক কন্যা শিশুসহ গৃহবধু‚ মালা রানী পাড়ি দেয় পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে।
এ বিষয়ে মালা রানীর স্বামী মিন্টু সিকদার বৃহস্পতিবার রাতে বেতাগী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান মিঞা বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে উভয়ে পরিবারের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঝামেলা মিটিয়ে নিয়েছে এবং উভয় তাদের জীবনসঙ্গীকে ভুল থেকে ফিরিয়ে খুশি, আমরাও থানা কর্তৃপক্ষ আনন্দিত যে নিস্পাপ সন্তান গুলো তাদের বাবা, মাকে কাছে পেয়ে পূণরায় জীবনের অস্তিত্ব ফিরে পেয়েছে।’