এম. হারুন-অর-রশিদ রিংকু, বরগুনা :
বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ মনিরুল ইসলাম হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের হাতেম গাজীর বাড়ির সামনে। গুরুতর আহত মনিরুলকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ মনিরুল ইসলাম হাওলাদার মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুকুয়া মৃধাবাড়ি স্ট্যান্ড এলাকা থেকে নিজস্ব মোটরসাইকেলযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে কৃষ্ণনগর গ্রামের হাতেম গাজী বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছলে হাতেম গাজীর ছেলে শহিদ গাজী ও খোকন গাজীসহ আরও ৪/৫ জন তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে রামদা দিয়ে কোপাতে থাকে। এতে মনিরুল মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। দুর্বৃত্তরা মনিরুলকে রামদা দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এ সময় মনিরুলের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বুধবার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, সম্প্রতি আমার ওয়ার্ডের সুলতান হাওলাদারের বাড়িতে ডাকাতি সংঘঠিত হয়। ডাকাতির সময় সুলতান হাওলাদার ধস্তাদস্তি করে এক ডাকাতের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে রেখে দেয়। সেই ফোনটি একই এলাকার মোতালেবের পুত্র শামীমের বলে চিহ্নিত করা হয়। এ ঘটনায় দোষারোপ করে হত্যার উদ্দেশ্যে শহীদ গাজী ও খোকন গাজীসহ আরও ৪/৫ জন আমাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করবের বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহআলম হাওলাদার মুঠোফোনে জানান, ইউপি সদস্য মনিরুলবে আহত করার ঘটনা শুনেছি। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।